মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত: খন্দকার মোশাররফ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত: খন্দকার মোশাররফ
আজ সকাল ১০টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফ। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/স্টার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর বলতে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত। দেশে গণতন্ত্র নেই।

আজ সকাল ১০টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, অর্থনীতি লুটপাট হচ্ছে। চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। দেশ থেকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে আমাদের সম্পদ। অর্থনীতি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত।

ভোট ডাকাতি করে সরকার ক্ষমতায় এসেছে অভিযোগ তুলে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গায়ের জোরে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। আবার এধরনের একটি নির্বাচন করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়ন করছে।

সিনিয়র এই নেতা বলেন, বিএনপি মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ কারাগারে। মির্জা আব্বাস সাহেব কারাগারে। আজকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম কারাগারে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদসহ আমাদের হাজারের উপরে কর্মী কারাগারে। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজকে তারা কারাগারে।

সরকারের বিরুদ্ধে দমন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার যে দমন নীতি চালাচ্ছে এইবারের নগ্ন চরিত্র তার বহিঃপ্রকাশ। আজকে সারা দেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ। শুধু আমাদের দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও বিক্ষুব্ধ।

দেশের মানুষের আশা সুষ্ঠু নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের মানুষ চায়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল এই সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।

এই বিজয় দিবসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা যে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এখানে এমন কোনো দফা নেই যেটা জনগণ চায় না। জনগণের দাবিকে আমরা দফায় রূপান্তর করেছি। আর যুগপৎ আন্দোলনের কথা আমরা ঘোষণা করেছি। আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে কে আসবে, না আসবে, এ ব্যাপারে আমরা তো কোনো বক্তব্য রাখতে পারি না। আমাদের বক্তব্য থাকে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলেছি। যারা এই সরকারের বিদায় চায়, যারা এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। যারাই হোক, যে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল যদি এই ইস্যুতে একমত হয়, তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করে তাহলে আমরা তো তাদের নিষেধ করতে পারবো না।

এসময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

1h ago