বিদেশি দূতাবাসে সরকারের চিঠির বিষয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে বিদেশে দূতাবাসগুলোতে সরকার চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অতিরঞ্জিতভাবে নানা জিনিস উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের প্রভোক করা হয়, যাতে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। তাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার স্বার্থেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।'

প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বরে ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রকৃত পরিকল্পনা; জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতাকে আমন্ত্রণ জানানো ছিল উল্লেখ করে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোতে চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

চিঠিতে বিএনপির ২ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ করার জন্য দলীয় কর্মীদের প্ররোচিত করে ইচ্ছাকৃতভাবে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তন্নতন্ন করে তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে গ্রেনেড আছে কি না সেটা তো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতেই হয়। তারা তদন্তের স্বার্থেই সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে। সেই তল্লাশিকে তারা যেভাবে অতিরঞ্জিত করে বলছে, আসলে ১০ ডিসেম্বর ফ্লপ করায় মুখ রক্ষার জন্য তারা নানা ধরনের কথা বলছে।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ জাতীয় সম্মেলন। সেদিন গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা দুরভিসন্ধিমূলক। আর যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন—এগুলো বিভিন্ন সময় তারা ডাক দেয়। গত ১৪ বছর বিভিন্ন সময় তারা ডাক দিয়েছে কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও যথারীতি তাই হবে, আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

19h ago