খালেদা জিয়া সমাবেশে গেলে তার মুক্তির আবেদন মিথ্যা প্রমাণিত হবে

আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে খালেদা জিয়া গেলে তার মুক্তির আবেদনে দেওয়া অসুস্থতার তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ শুক্রবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলছে ১০ ডিসেম্বর উনাকে (খালেদা জিয়া) দিয়ে বক্তৃতা দেওয়াবেন। যে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে উনি রাজনীতি করতে পারবেন না এই শর্ত নেই। কিন্তু উনাদের আবেদনে পরিষ্কার লেখা ছিল, তার শারীরিক অবস্থা এতই খারাপ যে তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। তাকে অবশ্যই তাড়াতাড়ি মুক্তি দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। যদি বেগম খালেদা জিয়া ১০ তারিখে যান তাহলে ওই যে আবেদনে লেখা ছিল, সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। 

আনিসুল হক বলেন, বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। উনারা আপিল করেছেন একটা মামলায়। সেটা হাইকোর্টের রায়ে সাজা বাড়ানো হয়েছে। আরেকটা বিচারিক আদালতে সাজা হয়েছে। তার পরে তিনি জেলে গেছেন। জেলে থাকাকালে তার পরিবার থেকে দরখাস্ত করা হয়েছে, তার শরীর অত্যন্ত খারাপ। যে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে যেন জেল থেকে ছাড়া হয় সেই প্রার্থনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মহানুভবতায় ৪০১ ধারায় দণ্ডদেশ স্থগিত রেখে ২ শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। বিএনপি এখনো বলে, তাকে জামিন দিতে হবে। মুক্ত মানুষকে আদালত কীভাবে জামিন দেয়! এটা তো অন্তর্বর্তীকালীন জামিন না। ইতোমধ্যে তাকে জেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাকে আর কীভাবে জামিন দেবে! মনে রাখতে হবে হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেননি, তাকে মুক্ত করা হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বক্তৃতায় বলেন, উনাকে মুক্তি দিতে হবে। উনি তো মুক্ত! উনি উনার বাসায় আছেন। প্রায় সময় চিকিৎসা নিতে এভার কেয়ার হাসপাতালে যান। অসুস্থ থাকেন, চিকিৎসা নেন আবার বাসায় ফিরে আসেন সুস্থ হয়ে। উনাকে মুক্তি দেওয়ার কী আছে, প্রশ্ন রাখেন আইনমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আজও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সোচ্চার। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছিল, উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। আজকে আবারও শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের কারণে যে উন্নয়ন হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে, সেটাকে নষ্ট করার জন্য বাংলাদেশকে আবারও ঔপনিবেশিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bees & bucks: Beekeeping boosts rural incomes

From December to February, mustard fields across Bangladesh become buzzing ecosystems as bees, both wild and domesticated, diligently go from flower to flower in search of their most precious commodity: nectar.

14h ago