নারায়ণগঞ্জে ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার ভেতর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় মশাল মিছিলের পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার ভেতর এসব ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে নেতাকর্মীদের ঠেকাতে মামলা দিতে এসব ঘটনা সাজানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় উপশহর ডাকঘরের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়ক, সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফতুল্লার সস্তাপুরে কমর আলী স্কুলের সামনে মশাল মিছিলের পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মশালের জন্য ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি, টিনের কৌটা, পোড়া টায়ার ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ থানার কোনোটিতেই মামলা হয়নি।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় উপশহর ডাকঘরের সামনে মশাল মিছিল শেষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মশাল ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ আলামত হিসেবে জব্দ করে। নাশকতা করে জনমনে ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। বিষয়টি তদন্তানাধীন। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মশাল মিছিল করে টায়ার পুড়িয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। পরে সড়কের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মশাল মিছিলের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে স্লোগান দেওয়া হয়। এই ঘটনা বিএনপির লোকজনই ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মশালের জন্য ব্যবহৃত লাঠি, টিনের কৌটা, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ জব্দ করেছে।'

সন্ধ্যায় ফতুল্লা মডেল থানার সস্তাপুর এলাকায় কমর আলী স্কুলের সামনেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ওই থানার ওসি রিজাউল হক দিপু।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে মশাল ও ককটেলের বিস্ফোরিত অংশ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

এদিকে মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মশাল মিছিলের কোনো কর্মসূচি আমাদের ছিল না। নেতাকর্মীরা সবাই পুরোনো মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে ছিল। অথচ দেখা যাবে আগামীকাল আমাদের নামেই মামলা হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের দমনের জন্য সারাদেশেই এমনটা চলছে। গত ১২ দিনে ৭টি থানায় বিএনপির লোকজনের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরে যাতে বিএনপি নেতা-কর্মী ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সেজন্য এইসব কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।'

প্রসঙ্গত, গত ১২ দিনে নারায়ণগঞ্জের ৭ থানায় পৃথক ৭টি মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ৭ মামলার ৪টির বাদি পুলিশ। বাকি ৩টির ২টি ছাত্রলীগের ২ কর্মী এবং একটি শ্রমিক লীগের এক নেতা করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

33m ago