বিএনপি রাত-বিরাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্না দেয়: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশের জনগণের চেয়ে বিদেশিদের কাছেই বেশি যাচ্ছে, কারণ জনগণের মাঝে তাদের ভিত্তি নেই।

তথ্যমন্ত্রী  বলেন, 'বিএনপি বিভিন্ন দূতাবাসে রাত-বিরাতে ধর্না দেয়। তারা যত না জনগণের কাছে যাচ্ছে, তারচে বেশিরভাগ রাতের বেলা দূতাবাসে গিয়ে ধর্না দেই। ধর্না দিয়ে তাদের হাতে পায়ে ধরে বিএনপি। হাতে পায়ে ধরে বলে, আপনারা কিছু বলুন। এ কারণে কেউ কেউ কোনো কোন সময় বক্তব্য দেন। এই মন্তব্য করার জন্য বিএনপিই তাদের উৎসাহিত করে।'

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

'বিদেশিদের বিভিন্ন মন্তব্য বর্তমান সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে' বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, 'আমাদের ভিত হচ্ছে জনগণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছে পরপর ৩ বার। কোনো বিদেশি শক্তি আমাদের ক্ষমতায় বসায়নি, কোনো বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনও করতে পারে না।'

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রথমত বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় অবশ্যই কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলা উচিত। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যখন বিএনপিসহ তাদের দোসররা তাদের কাছে গিয়ে ধর্না দেই, এ কারণে কেউ কেউ কোনো কোনো সময় মন্তব্য করেন। এই মন্তব্য করার জন্য বিএনপিই তাদের উৎসাহিত করে।'

তিনি বলেন, 'কোন বিদেশি কী বলল, কে কী করল তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। যারা বিদেশি শক্তির পদলেহন করে তারা এমন বক্তব্য রাখতে পারেন। আমির খসরু সাহেবরা বিদেশিদের পদলেহন করে তো, সেজন্য বিদেশিরা কী বলল-না বলল সেটা নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সারাদেশে নানা ধরণের সমাবেশ করছে। এই সমাবেশ করতে গিয়ে তারা চাঁদাবাজি করছে। চট্টগ্রামের সমাবেশের জন্য তারা ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে। চট্টগ্রামের বহু ব্যবসায়ী আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেছে, তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বিএনপি চাঁদা আদায় করেছে। আবার জনসভার নামে তারা বিভিন্ন জায়গায় পিকনিকের মতো আয়োজন করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল শনিবার তাদের কুমিল্লায় জনসভা। সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাক্কু বলেছেন তার পরিবারের ৭৬টি ফ্ল্যাট নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য দিয়েছেন। প্রথমত ৭৬টি ফ্ল্যাট কীভাবে এলো সেটা একটা বড় প্রশ্ন। বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতা-কর্মীদের এনে সেখানে তারা পিকনিকের আয়োজন করছে।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা জানেন শুক্রবার যশোরে আওয়ামী লীগের জনসভা জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে জনসভা বহুদূর পর্যন্ত জনস্রোত ছিল। চট্টগ্রামের জনসভাও পলোগ্রাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে।। পলোগ্রাউন্ডে যত মানুষ হবে তারচে বহুগুণ বেশি মানুষ হবে পলোগ্রাউন্ডের বাইরে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটবে। সেই জনসভাকে সফল করার উদ্দেশ্যেই আজকে আমরা এখানে বসেছি।'

সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা, দিদারুল আলম, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

7h ago