বিএনপির গণসমাবেশ: রংপুরে আবাসিক হোটেলে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ
রংপুরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভাগের ৮টি জেলা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চলে এসেছেন। এ মাঠেই আজ বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
দূরবর্তী জেলা থেকে যারা সমাবেশের আগের দিন রংপুরে এসে সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের একটি অংশ নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেছেন। তবে, যারা পরে এসে পৌঁছেছেন তাদের অধিকাংশই হোটেলে জায়গা না পেয়ে সমাবেশ ময়দান, সংলগ্ন ফুটপাত ও দলীয় সহানুভূতিশীলদের বাসায় রাত্রিযাপন করেছেন।
নীলফামারী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল আলম বাবু জানান, রংপুর নগরীতে দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে যারা উঠেছেন তারা সেই পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে রাতের খাবার পেয়েছেন। যারা সমাবেশস্থল বা ফুটপাতে যারা ছিলেন, তারা রেস্তোরাঁ থেকে নিজ ব্যবস্থাপনায় খেয়েছেন।
গতকাল রাত ৯টার পর অধিকাংশ রেস্তোরার খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই অভুক্ত ছিলেন, আবার অনেকে সঙ্গে আনা শুকনা খাবার খেয়েছেন।
বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদসহ হয়রানী করেছে।
পুলিশ কাউকে আটক না করলেও সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নূরে আলম মিনার বলেন, 'এ ধরনের কোনো অভিযানের কথা আমার জানা নেই।'
তিনি বলেন, 'রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।'
আজও সকাল থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছেন সমাবেশস্থলের দিকে। কালেক্টরেট মাঠ ছাড়িয়ে আশেপাশের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে জমায়েত। এতে যানবাহনসহ পথচারী চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে।
আজ দুপুর ২টায় রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করবেন, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও সভা সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব মাহাফুজুন্নবী ডন।
Comments