মুন্সিগঞ্জে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে পথচারী নিহত

মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল
আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধদের প্রথমে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহত মনির হোসেন মোল্লা (৭০) মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বকুলতলা গ্রামে আধারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আলী হোসেন ও আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 

এ সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন-ফরহাদুল (২০), আলী নায়েব (৬৫), মোহাম্মদ মাহিম (১৮), জমসেদ নায়েব (৪৫), হাসান (২৫), আশিক (২১), হৃদয় (১৮), রিয়াজ (২৫), রাসেল (২৪), আলভী (১৪), রিমন (১৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য নিয়ে সোমবার বিকেল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে পথচারী মনির হোসেনসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ মনির হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

নিহত মনির হোসেনের মেয়ে সোনিয়া আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিকেলে নামাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন মনির হোসেন। পথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার রাত ৮টার দিকে বকুলতলা থেকে ১১ জন রোগী আসেন। তাদের সবাই ছড়রা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।'

জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যার দিকে আধারা ইউনিয়নের বকুলতলায় মারামারি হয়। সেখানে বিস্ফোরণও হয়। সংঘর্ষে ১১ জনের মতো আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।'

'এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago