চিঠি পেয়েছি, ব্যাস এই পর্যন্ত, এর বেশি কিছু বলতে পারব না: পঙ্কজ দেবনাথ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথকে আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত অব্যাহতির চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন পঙ্কজ দেবনাথ ।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চিঠি পেয়েছি, ব্যাস এই পর্যন্ত।' এর বেশি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
দলীয় চিঠির বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস জানান, তার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। এই বিষয়ে দল ব্যবস্থা নিয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।
এ বিষয়ে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পঙ্কজ দেবনাথ শুধু জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার পদ নয় সব পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের অভিযোগে।'
চিঠিতে বলা হয়েছে, 'সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ অন্যান্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ। উপরিউক্ত বিষয়ে আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগে জমা দেওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।'
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর জেরে গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সময় ৪ টি খুনের ঘটনাও ঘটে। দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র কামাল খান। পক্ষটি জেলা আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট। অপর পক্ষে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ। এ ছাড়া দলীয় প্রাথীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রাথীকে সমর্থন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন বলেও অভিযোগ আছে।
গত ২৮ আগস্ট মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান একটি গ্রুপ আরেক গ্রুপকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছিল। আহত নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। অন্যদিকে ঘটনায় অভিযুক্তরা সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী বলে জানা যায়।
এসব ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে একাধিক সংঘর্ষের সাথে সাথে পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রায় সব নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হন বলে সূত্র জানায়। ইউনিয়ন পরিষদ সকল নির্বাচনে ও দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে বারবার সংঘর্ষ হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দুই দফায় বন্ধ রাখে।
Comments