উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নির্দেশ নেপালের আদালতের, এমন আদেশ দেয়নি দাবি ইউএস-বাংলার

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবারকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসকে নির্দেশ দিয়েছেন নেপালের এক আদালত।
গত ২২ জুলাই কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে আজ শনিবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, নেপালের কোনো আদালতে এ ধরনের কোনো রায় প্রদান করেনি। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে
নেপালের কাঠমান্ডু পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৮ সালের মার্চে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হওয়া ফ্লাইট ২১১-এ নিহতদের পরিবারগুলোকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসকে নির্দেশ দিয়েছেন কাঠমান্ডু জেলা আদালত।
এতে বলা হয়, ওই দুর্ঘটনায় ফ্লাইটটির ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ২২ জন নেপালি, ২৮ জন বাংলাদেশি ও একজন চীনা নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারের প্রতিটির জন্য ২০ হাজার ডলারের বিমা দাবি বাদ দিয়ে আদালত মোট ২৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে এয়ারলাইনটিকে নির্দেশ দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নিহতদের পরিবার এ ধরনের বড় রায়ে জয়ী হলো। গত সাত দশকে নেপালে ৭০টি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রায় ৯৬৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের কারণ ছিল চরম অবহেলা। কিন্তু এর আগে কোনো এয়ারলাইনসকে দায়ী করা হয়নি।
এ বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস নেপালের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কাঠমান্ডু জেলা আদালতের তথ্য কর্মকর্তা দীপক কুমার শ্রেষ্ঠ কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেন, 'রায়ের পূর্ণাঙ্গ লিখিত কপি প্রকাশে কিছুটা সময় লাগতে পারে।'
তিনি জানান, ১৬ জন নিহত যাত্রীর পরিবার ও একজন বেঁচে যাওয়া যাত্রীর মামলার বিচারকার্য সম্পন্নকারী বিচারক দিবাকর ভট্ট এই আদেশ দিয়েছেন।
ইউএস-বাংলার বিবৃতি
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে লিখিত বিবৃতিতে জানান, সম্প্রতি নেপালের কোনো আদালতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের রায় প্রদান করেনি। কাঠমান্ডু পোস্টের এ ধরনের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত।
ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ মনে করে, আদালতের কোনো অনুলিপি ব্যতীত অন্য একটি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের কোনো সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা সমীচীন হবে না।
Comments