‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিলেন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান

প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সাম্প্রতিক চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য বা 'সেভেন সিস্টার্সকে' ল্যান্ডলকড উল্লেখ করে বলেছিলেন, তাদের সমুদ্রের ব্যবহারের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশই একমাত্র অভিভাবক।

সফরে এক অনুষ্ঠানে চীনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, স্থলবেষ্টিত নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করে সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারে।

তার এ বক্তব্যের পর ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশ্লেষকরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান।  

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওই বক্তব্যের একটা ব্যাখ্যা দেন।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথমবার এমন কথা বলেননি। তিনি ২০১২ সালে একই ধরনের কথা বলেছিলেন।'

'আবার ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা দিল্লিতে গিয়ে বলেছিলেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য এবং বাংলাদেশকে একটা ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করার কথা। তিনি এই প্রসঙ্গে সিঙ্গেল ইকোনমিক জোনের কথাও বলেছিলেন যেটা বিগবি ইনিশিয়েটিভ বলে গণ্য করা হয়,' বলেন তিনি।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, 'আগেই বলেছি কানেক্টিভিটি এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে, বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রে এক্সেস পাওয়া খুব কঠিন। আমরা কানেক্টিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেবো না এবং সেটার অবস্থাও আমাদের নেই। কেউ যদি নেন খুব ভালো, আর না নিলে আমাদের কিছু করার নেই।'

'এখন যদি এর ব্যাখ্যা অন্যরকম দেওয়া হয়, আমরা তো সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারব যে, সবার সমান বেনিফিটের জন্য আমরা কানেক্টিভিটি দিতে আগ্রহী। কেউ নিলে ভালো, না নিলে নেবে না,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

2h ago