এক ব্যক্তি-গোষ্ঠীর হাতে একাধিক গণমাধ্যম নয়: সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত

একই কোম্পানি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, পরিবার বা উদ্যোক্তা যাতে একই সঙ্গে একাধিক গণমাধ্যমের মালিক না হতে পারে সে বিষয়ে সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

এটি ছাড়াও, মোট ২১টি পয়েন্ট ও তার উপধারায় তাদের রয়েছে একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব।

আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।

এতে বলা হয়, বৈশ্বিক চর্চা হচ্ছে গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ যেন কোনোভাবেই ঘটতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কমিশন মনে করে এখানেও অচিরেই একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। ক্রস ওনারশিপ নিষিদ্ধ করে অর্ডিন্যান্স জারি করা যায় এবং যেসব ক্ষেত্রে এটি বিদ্যমান সেগুলোয় পরিবর্তন আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। এগুলো নানা পদ্ধতিতে হতে পারে। যেসব কোম্পানি/গোষ্ঠী/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি/পরিবার একই সঙ্গে টেলিভিশন ও পত্রিকার মালিক তারা যেকোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দিতে পারে। অথবা দুইটি মিডিয়ার (টেলিভিশন ও পত্রিকা) সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারে একটি মিডিয়া (টেলিভিশন অথবা দৈনিক পত্রিকা) পরিচালনা করতে পারে।

কমিশন জানায়, একক মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক বা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। সেই সাথে গণমাধ্যমের যে ক্ষমতা তা নিজ স্বার্থে কেন্দ্রীভূত করে। সে কারণে এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। কমিশন মনে করে, একই মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকা গণমাধ্যমের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে এবং পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এক উদ্যোক্তার একটি গণমাধ্যম (ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া) নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমে কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়।

গণমাধ্যমে কালোটাকার অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, প্রতিবছর গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক হিসাব উন্মুক্ত করতে হবে যাতে তার আয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।

সেইসঙ্গে গণমাধ্যমকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বড় মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তাদের সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে, কোনো গণমাধ্যমে নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র ছাড়া এবং বিনাবেতনে কোনো সাংবাদিককে অস্থায়ী, স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এমনকি শিক্ষানবিশকাল এক বছরের বেশি হতে পারবে না।

এছাড়াও সাংবাদিকদের স্থায়ী চাকরির শুরুতে সরকারি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাদের মূল বেতনের সমান বেতন ধার্য করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

সংস্কার কমিশনের পুরো প্রস্তাব

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU protesters spend night on road, vow to continue sit-in until demands met

As of 10:00am today, demonstrators remain at the site, refusing to leave until their demands are fulfilled

1h ago