প্রতিবেশী কূটনীতিতে আমরা সবসময় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেই: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আজ বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: সংগৃহীত

চীন তার প্রতিবেশী কূটনীতিতে সর্বদা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয় এবং বাংলাদেশি জনগণের বিষয়ে সুপ্রতিবেশী নীতি মেনে চলে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

আজ মঙ্গলবার বেইজিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে ওয়াং ই এমন মন্তব্য করেছেন বলে চায়না ডেইলি জানিয়েছে।

বৈঠকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চীন বাস্তবসম্মত সহযোগিতা গভীর করতে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এগিয়ে নিতে আগ্রহী।'

চার দিনের সফরে গতকাল সোমবার রাতে বেইজিংয়ে পৌঁছান উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম বিদেশ সফর করছেন।

ওয়াং ই বলেন, 'দায়িত্ব গ্রহণের পর তৌহিদ হোসেন তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য চীনকে বেছে নেওয়ার বিষয়টি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা গুরুত্ব দেয় তা প্রতিফলিত করে।'

'চীন ব্যাপক সংস্কার করছে এবং চীনের আধুনিকীকরণকে এগিয়ে নিচ্ছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে,' বলেন তিনি।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চীনের সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল।

বড় বড় এবং 'ছোট কিন্তু সুন্দর' প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের আয় বাড়ানোর প্রচেষ্টা সমন্বয় করার আহ্বান জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তৌহিদ হোসেনকে তিনি বলেন, 'নতুন নতুন উদীয়মান ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করুন এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সহযোগিতা একীভূত করুন।'

এ বছর চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বছর।

ওয়াং ই এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার এবং কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে চীনের প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন।

জবাবে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, 'চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাংলাদেশের সব দল চায়, যা সরকার ও পুরো জাতি সমর্থন করে।'

তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এক-চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জড়িত হতে আগ্রহী। পাশাপাশি আঞ্চলিক বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করতে, সংযোগ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীভূতকরণের অংশীদার হিসেবে কাজ করতে এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে আগ্রহী।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

11h ago