ভোলার মানুষ শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখতে চায়: সারজিস আলম

সারজিস আলম | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা জানতে চেয়েছি ভোলার মানুষ জুলাই ঘোষণাপত্রে কী দেখতে চান? তারা সবার আগে বলেছেন, তারা খুনি হাসিনার ফাঁসি দেখতে চান।

আজ শুক্রবার ভোলায় লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

প্রোক্লেমেশন সপ্তাহ উপলক্ষে জনমত তৈরি করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ লিফলেট বিতরণ করে।

সারজিস বলেন, 'বিগত ১৬ বছরে খুনি হাসিনা ভোটের প্রয়োজনীয়তা রাখেননি। তাই কোনো নেতাকে জনগণের কাছে আসতে হয়নি।'

তিনি বলেন, 'এই অভ্যুত্থানে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, লড়াই করে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনাকে দেশছাড়া করেছি। এটা আমাদের দায়বদ্ধতা, এ দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে—হোক সেটি দেশের সবচেয়ে প্রান্তিক জেলা, সেই জেলায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শোনা এবং সেই অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশের কাজগুলো করা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।'

'যে স্পিরিটকে সামনে রেখে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি, বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন ধারণ করি, সেগুলো একটি ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেগুলো যেন কয়েকজনের কথা না হয়, সেটা যেন প্রত্যেকটি জেলার-থানার, প্রত্যেকটি শ্রেণির মানুষের কথা হয়। সেই জায়গা থেকে আমরা দ্বীপ জেলা ভোলায় এসেছি,' বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, 'আমরা মনে করি, ঢাকা শহর থেকে দূরত্ব কখনো অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারে না। অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে কার কতটুকু ত্যাগ আছে। ত্যাগের দিক থেকে বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি জেলা হচ্ছে ভোলা।'

তিনি বলেন, 'আমরা আজকে ভোলায় রাজপথে হেঁটেছি। আমাদের যে ভাইরা সিএনজি-রিকশা চালায়, অটো-রিকশা চালায়, ফুটপাতে দোকানদারি করে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা জানতে চেয়েছি তারা ঘোষণাপত্রে কী দেখতে চান? তারা সবার আগে বলেছেন, তারা খুনি হাসিনার ফাঁসি দেখতে চান।'

তিনি আরও জানান, খুনি হাসিনা প্রত্যেকটি জায়গায় যেভাবে গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছে, সেগুলো শেষ করে তারা একটি সিস্টেম চায়।

দেশের যে জায়গাগুলোতে এখনো দালালি-চাঁদাবাজি হয়, সেখানে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এই ছাত্রনেতা।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago