জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিলুপ্তির দাবি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের
উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের অংশ কমানো সংক্রান্ত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
প্রতিবাদ সভায় প্রশাসন ক্যাডারের কয়েকশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি এ বি এম সাত্তার আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেন।
তিনি বলেন, 'যদি তাকে কমিশন থেকে বাদ না দেওয়া হয় বা পদত্যাগ না করেন তাহলে কীভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হয় আমাদের জানা আছে।'
প্রশাসনের ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল কোটা তুলে দেওয়ার জন্য। সংস্কার কমিশনের উচিত এই কোটা তুলে দেওয়া। কিন্তু সেটা না করে তারা উল্টো কোটা বাড়ানোর চিন্তা করছেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'
'এই কমিশনের মাধ্যমে কর্মকর্তারা সুবিচার পাবেন না। তাই তাদের পদত্যাগ দাবি করছি,' বলেন তিনি।
ঢাকার ডিসি তানভীর আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, 'জেলা ও উপজেলায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা এরশাদ সরকারের আমলে খর্ব করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয়ভাবে সেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কোটামুক্ত পদোন্নতি চাই।'
বর্তমানে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের অংশ ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের ২৫ শতাংশ।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করা হবে।
Comments