বড়দিনে চার্চে ব্যাগ নেওয়া যাবে না, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এ ছাড়া, থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

বড়দিন উপলক্ষে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে, পাশাপাশি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।

এ ছাড়া, নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না এবং কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হবে। পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। কোনো উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরিচয়পত্র ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গুলশান ও হাতিরঝিল এলাকায় সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া, উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করবে ডিএমপি।

সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিস এবং সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন ডিএমপি কমিশনার।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

14h ago