ভারত আ. লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে, রাষ্ট্র-রাষ্ট্র সম্পর্ক হয়নি: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারত আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু বিষয় নিয়ে টেনশন শুরু হয়েছে। ভারতের আগরতলায় গতকাল বাংলাদেশ কনস্যুলেটে হামলা হয়েছে। বিশ্ব মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদে আছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা মাঠের অবস্থা তাকে জানানোর চেষ্টা করেছি।' 

'আমরা বলেছি, ভারত সরকারের সঙ্গে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যে সম্পর্ক ছিল, যে চুক্তিগুলো হয়েছে, সেগুলো যেন প্রকাশ করা হয়। ফেলানি হত্যাসহ, সীমান্তের সব হত্যার বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করতে হবে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেন ন্যায্যতার সঙ্গে হয়, তাও নিশ্চিত করার কথা বলেছি,' বলেন তিনি।

হাসনাত আরও বলেন, 'সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সব নাগরিক সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে যে বসবাস করছি এবং এখানে যে সম্প্রীতি আছে তা যেন বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করা হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।'

তিনি বলেন, 'ভারত এতদিন বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে দেখেছে, এতে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক হয়নি, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক হয়নি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণের বিমাতাসুলভ সম্পর্ক নেই।'

'ভারতের সরকার দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আওয়ামী লীগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমি আহ্বান জানাব, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যেন জনগণের সঙ্গে জনগণের এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের হয়,' যোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

Comments

The Daily Star  | English
How do we avoid a debt trap?

How do we avoid a debt trap?

The debt bubble is ominous, given Bangladesh’s narrow export base and heavy reliance on remittance inflows.

6h ago