বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য বিব্রতকর: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য আমাদের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আজ রোববার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর মব হামলা ও লুটের নিন্দা জানান। বর্তমানে বাংলাদেশ পুরোপুরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন এটা আমাদের অনেকটা বিব্রত করে। কারণ, আমাদের দেশে যারা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী আছেন, আমরা মনে করি তাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার স্বীকৃত।'

তিনি আরও বলেন, 'বিভিন্ন জায়গা থেকে যে অভিযোগগুলো আমরা শুনছি, আমরা এই কথাগুলোর সঙ্গে একমত না। অতএব ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট পাওয়ার জন্য, ভোটের ময়দানে অনেকে অনেক কথা বলে।'

'আমরা এই কথা বিশ্বাস করি এবং আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এদেশে যারা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী আছেন, তারা নিরাপদে আছেন। তাদের ধর্ম, তাদের ব্যবসা, তাদের রাজনৈতিক কথা বলার অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি, ইট ইজ আওয়ার কমিটমেন্ট,' যোগ করেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, 'আমরা তো সবসময় কথা বলে আসছি, এ দেশের যারা নাগরিক নানা ধর্মাবলম্বী আছেন প্রত্যেকের অধিকার আছে। তাদের সিটিজেন রাইটস আছে, রিলিজিয়াস রাইটস আছে, এটা সাংবিধানিক রাইট। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সম্প্রতি পূজা পার্বণসহ যে উৎসবগুলো গেল, আমরা তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি।'

'আমরা মনে করি সহনশীলতা না থাকলে আমরা একটা সুন্দর বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব না। এজন্য আমাদের বিভেদ কমিয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতির আবহ যদি আমরা তৈরি করতে পারি তাহলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago