বান্দরবানে কঠোর নিরাপত্তায় প্রবারণা উৎসব

কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে প্রবারণা উৎসব পালন করছে বান্দরবানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষেরা।  

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব মনে করা হয় প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবকে। 

আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে তিন মাস কঠোর সাধনার পালনের পর আসে আশ্বিনী পূর্ণিমা। মারমা সম্প্রদায় এই ধর্মীয় উৎসবকে বলে থাকে 'মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে' অর্থাৎ মহান প্রবারণা পূর্ণিমা।

বিগত বছরগুলোতে প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে বান্দরবান জেলায় যেভাবে নানা ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব থাকলেও, এ বছরের প্রবারণা পূর্ণিমাতে উৎসবের আমেজ তেমন একটা নেই।

গতমাস ও এ মাসের শুরুতে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনার প্রভাব পড়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে।

সীমিত আকারে আয়োজনে হচ্ছে পিঠা ও ফানুস উৎসব। মারমা সম্প্রদায়ের মানুষরা ঐতিহ্যবাহী রথপূজার জন্য রথযাত্রা তৈরি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে 'পঙ্খিরাজ'। 

বান্দরবান জেলার প্রবারণা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি অংচমং মারমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাহাড়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা বা মাহা: ওয়াগ্যেয়ে পোয়েঃ এবার উদযাপিত করা হবে সীমিত পরিসরে। ফানুস উড়ানো হবে মাত্র ২৫টি। ছোট রাজার মাঠ থেকে অরহৎ উপগুপ্ত বুদ্ধের উদেশে রথ টেনে রাজগুরু বিহারে বন্দনা শেষে পুনরায় একইসঙ্গে নিয়ে আসা হবে। শেষের দিন ১৮ অক্টোবর বিকালে পুনরায় পুরাতন ছোট রাজার মাঠ থেকে রথ টেনে শহর প্রদক্ষিণ করে উজানী পাড়া খেয়াঘাটে সাঙ্গু নদীতে ভাসানো মধ্য দিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা সমাপ্তি ঘটবে।'

বান্দরবানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাদা পোশাকে ও মোবাইল টিম টহলে থাকবে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Indian Media Reporting on Bangladesh: Fake or Fact?"

Why is the Indian media's coverage of Bangladesh markedly different from that of Bangladeshi news outlets?

8h ago