আরও ২ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো শাহরিয়ার কবিরকে, কারাগারে শ্যামল দত্ত

শাহরিয়ার কবির ও শ্যামল দত্ত। ছবি: সংগৃহীত

আরও দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৮ ও ১৯ জুলাই মো. আরিফ ও রফিকুল ইসলামের নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতের প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী এলাকার রায়ান কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলামকে ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে গুলি করা হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নারজিয়া আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৯৪ জনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

অপরদিকে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী মো. আরিফ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আন্দোলন চলাকালে রমনা এলাকার এক গৃহকর্মী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ শাহরিয়ার কবির এবং একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুকে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতের বিচারক ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম মলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা জয়নাল সিকদার।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ১৮ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে শান্তিনগর মোড়ের কাছে লিজা (১৯) গুলিবিদ্ধ হন। চার দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

অপরদিকে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

গত ৫ আগস্ট পোশাক শ্রমিক মো. ফজলুর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ এ আদেশ দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ সবুজ ভাসানটেক থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ সাংবাদিকসহ ১৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাসানটেক এলাকায় দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে এক সমাবেশে ফজলুকে গুলি করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago