আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো বিচারপতি মানিককে
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আজ আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ধানমন্ডিতে ১৪ বছরের আবদুল মোতালেব নিহত হওয়ার ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করে তার বাবা আব্দুল মতিন।
ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন মিয়া হত্যা মামলায় মানিককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মানিককে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির সময় মানিক তাকে হয়রানির জন্য মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে জামিন চান। তবে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ধানমন্ডি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে আবদুল মোতালেব অংশ নেয় যেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ২৬ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মানিকসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মতিন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় আদাবর, লালবাগ ও বাড্ডা থানায় দায়ের করা ছয়টি মামলায় গতকাল বিচারপতি মানিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল, লালবাগে কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ, সুমন সিকদার, হাফিজুল সিকদার, তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বাড্ডায় সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে সিলেটের কানাইঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাস মানিককে জামিন দেন।
গত ২৩ আগস্ট রাতে কানাইঘাটের দোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
পরদিন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মানিককে কারাগারে পাঠান।
এরপর কানাইঘাট থানায় পাসপোর্ট আইনে 'অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার' অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
Comments