সাবেক প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য বরাদ্দকৃত সব কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

উপসচিব মো. কামরুজজামানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার উপদেষ্টা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের সব সদস্যসহ যেসব ব্যক্তি কোনো পদে থাকার কারণে কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন, ওই পদে তাদের নিয়োগ বা কর্মকাল শেষ হওয়ায় তাদের ও তাদের স্পাউসদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবিলম্বে রিভোক করতে হবে। তাদের মধ্যে যারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, অন্তত দুটি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের পাসপোর্ট দেওয়া যেতে পারে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) কর্মকর্তারা জানান, লাল পাসপোর্টধারীদের তাদের পাসপোর্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ভিত্তিতে সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও ডিআইপি প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

একবার লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিআইপির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, লাল পাসপোর্টের আবেদন এলে কোনো যথাযথ যাচাই-বাছাই করা ছাড়া পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ না করতে সব পাসপোর্ট অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাল পাসপোর্টধারী ছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যান।

যারা লাল পাসপোর্ট নিয়ে দেশের বাইরে আছেন, তাদের (সাবেক এমপি-মন্ত্রী) ক্ষেত্রে কী হবে, জানতে চাইলে পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, 'তারা যে দেশে আছেন, সেখানকার বাংলাদেশি মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চিঠি পাঠিয়ে কাজটি করতে পারেন।'

অথবা তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বলে জানান তারা।

তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত কারো বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Reform commission reports: Proposals seek to bring youths into JS

Reform commissions on the constitution and election process have both recommended measures that increase opportunities for the youth to run for parliament and become more involved in politics, sparking both hope and criticism.

7h ago