প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজ ঢাকার একটি হোটেলে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: স্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই অন্তর্বর্তী সরকার দেশে নির্বাচন আয়জন করবে।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি এ কথা বলেন।

কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীরা চায় অর্থবহ ও আমূল সংস্কার, যার মাধ্যমে দেশে প্রকৃত ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে আমাকে সফল হতেই হবে। আর কোনো বিকল্প নেই।'

তিনি বলেন, 'কাজটি বিশাল। কিন্তু দেশের সব নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এটা সম্ভব।'

শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে ড. ইউনূস বলেন, 'ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে। দেড় দশকের নৃশংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার দমন করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ভোটের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়নি, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করা হয়েছে।'

দেশের জনগণের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছে যেখানে জনগণ তাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে এবং মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে সক্ষম হবে এবং সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।'

'আমাদের জনগণ এবং দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর অটল সহযোগিতায় স্বল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। পুলিশ বাহিনীও তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যতদিন লাগবে ততদিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে,' বলেন তিনি।

বাংলাদেশ একটি নতুন সূচনার বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমাদের বীর ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রকাঠামোর দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন চায়। এটি একটি কঠিন যাত্রা এবং সেই পথে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।'

'তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে আমাদের। যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই ভালো। দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago