শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শহীদ মিনারে হাজারো আন্দোলনকারী

রোববার দুপুরে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের জমায়েত। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

বিক্ষোভে উত্তাল শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। হাজারো বিক্ষোভকারীর স্লোগানে মুখর শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য, শহীদ মিনার, চানখারপুল এলাকা।

শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতারা জানান, দুপুর থেকে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকটি গ্রুপকে লাঠি, হকিস্টিক, রামদা হাতে কারওয়ান বাজার হয়ে বাংলামোটর-শাহবাগের দিকে এগোতে দেখা গেলেও সর্বশেষ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় কয়েক হাজার আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন।

বিকেল ৪টায় শাহবাগ থানা থেকে টিয়ারশেল নিক্ষেপের একটি গাড়ি নিয়ে বের করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। তবে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে গাড়িটি থানা থেকে বের হতে পারেনি।

আজ সকাল ১০টা থেকেই শাহবাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

পৌনে ১১টার দিকে শাহবাগে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, সকাল ১১টার দিকে এক দল লাঠিধারী  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পেছনের গেট দিয়ে চত্বরে আসে। সেখানে তারা আচমকা হামলা চালিয়ে ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও দুই-তিনটি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়। চত্বরে থাকা ব্যক্তিগত গাড়িও পুড়িয়ে দিয়ে পেছনের গেট দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। তাদের হাতে ছিল রড ও হস্টিস্টিক। তারা মুখোশ পরা ছিল। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে এই হামলাকারীরা সরকার সমর্থক বলে দাবি করেছে শাহবাগে অবস্থান করা আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারী তরিকুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমগ্র শাহবাগে আমরা অবস্থান করছি। ছাত্রলীগ হামলা করতে এসেছিল। আমাদের প্রতিরোধে তারা বিএসএমএমইউতে ভেতরে ঢুকে গেছে। ভেতরে আগুন ওরাই দিয়েছে। ভবনের ছাদে উঠেও আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।'

সর্বশেষ বিকেল ৪টায় কারওয়ানবাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের একটি অংশকে সড়কে অবস্থান করতে দেখা গেছে। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে তারা ফার্মগেটের দিকে এগোচ্ছেন।

আরও মানুষ শাহবাগের জমায়েতে যোগ দিচ্ছেন।

Comments