নিহতদের স্মরণে শিক্ষার্থীদের মোমশিখা প্রজ্বালন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, লাঠিপেটা

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের কয়েকজন অভিভাবক জড়ো হলে এই ঘটনা ঘটে।
ছবি: স্টার

সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জ শহরে আয়োজিত 'মোমশিখা প্রজ্বালন' কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের কয়েকজন অভিভাবক জড়ো হলে এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাংবাদিকদের বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ মিনারে মোম হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। কর্মসূচি শুরু করার আগেই পুলিশ তাতে বাধা দেয়। তাদের জানানো হয় যে, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে নিহত সহপাঠীদের স্মরণে মোমশিখা প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশ কোনো কথা না শুনেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানান তারা।

পুলিশের লাঠিচার্জের পর শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তবে তারা আশেপাশের সড়কে অবস্থান করতে থাকেন। এই সময় একাধিকবার পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। পুলিশ ধাওয়া দিলেও দুজন কলেজশিক্ষার্থী হাতে-হাত চেপে ধরে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে আরও শিক্ষার্থীরা তাদের পাশে জড়ো হন। সেখান থেকে পুলিশকে তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায়। যদিও পুলিশ বলছে, তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি তোলারাম কলেজের এক শিক্ষার্থী ডেইলি স্টারকে বলে, 'আমরা একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাদের হাতে ছিল মোমবাতি। কোনো লাঠি বা ইট আমাদের হাতে ছিল না। আমরা কাউকে ঢিল মারিনি, কাউকে গালিও দেইনি। তাহলে কেন আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হবে? আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।'

ওই সময় পুলিশকে নেতৃত্ব দেওয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোনো অনুমতি ছাড়া তারা কর্মসূচির জন্য জড়ো হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিই।'

শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

4h ago