ইউএনওকে ফুল না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

ইউএনও বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমি ফুল প্রত্যাশা করিনি। তারপরও আমার সামনে অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন তাকে মারধর করেছেন।’
জমি নিয়ে বিরোধে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফুল না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (৪৪) কাপাসিয়ার কপালেশ্বর গ্রামের ফাইজ উদ্দিন পালোয়ানের ছেলে। তিনি কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক।

শনিবার রাত ১১টার দিকে কাপাসিয়ার ইউএনও এবং কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ কে এম লুৎফর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। আমার সামনেই ওই শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে।'

ইউএনওকে ফুল না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সভাপতি হিসেবে আমি ফুল প্রত্যাশা করিনি। তারপরও আমার সামনে অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন তাকে মারধর করেছেন। আমি তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করেও পারিনি। পরে পুলিশ এনে পরিবেশ শান্ত করেছি।'

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসাইন বলেন, 'স্কুলের অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেছিলেন ইউএনওর জন্য ফুলের ব্যবস্থা করতে। আমি বলেছি, তাকে উপজেলায় ফুল দেওয়া হয়েছে। এরপরও ফুল দিতে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি।'

তিনি বলেন, 'শনিবার মিটিংয়ে ইউএনও স্যারের সামনেই বিল্লাল হোসেন আমাকে গালি দিলে আমাদের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক প্রতিবাদ করেন। তখন বিল্লাল হোসেন ও তার লোকজন মোজাম্মেলকে মেরে আহত করেন।'

আহত মোজাম্মেল হককে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বলেন, 'ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে বিল্লাল হোসেন প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমি ন্যায়সঙ্গত ভাবেই তাদের শান্ত হতে বলি। উল্টো তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে বিল্লাল হোসেন আমার নাকে, মুখেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি দিতে শুরু করেন। আরও কয়েকজন আমার পিছন দিক থেকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারেন।'

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান মোজাম্মেল হক।

Comments

The Daily Star  | English

475 workplace deaths in 6 months: report

Of the total number, 250 transport workers died in this period, 74 died in service establishments (such as workshops, gas, electricity supply establishments), 66 in agricultural sector, 52 in construction, and 33 died in factories and other manufacturing institutes

57m ago