মধ্যনগরে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় পরাজিত প্রার্থীসহ আহত ৭

হামলায় আহত সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার সমর্থকদের হামলায় পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামে আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন সাইদুর রহমান।

সাইদুর রহমান জানান, বিকেলে বাড়ির পুকুরপাড়ে কয়েকজন সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। রামদার কোপে তিনি, তার ছেলে আইনজীবী আরিফুর রহমানসহ সাতজন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তারা নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। 

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আমাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা নির্বাচনের আগেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছি।'

স্থানীয়রা জানান, আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া ও সাইদুর রহমানের বাড়ি একই গ্রামে। আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিচালক আবদুল বাতেনের বড় ভাই। আজিম মাহমুদ তাদের ভাতিজা। আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া ও সাইদুর রহমানের পারিবারিক বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত বুধবার নবগঠিত এই মধ্যনগর উপজেলায় প্রথম ভোট হয়।

উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সাইদুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফরিদ মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। আমার ওপরও হামলা হতে পারে। আমি বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি।'

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আজিম মাহমুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাইদুর রহমানের সমর্থকরা আগে আমার ভাতিজা বাছেদ ভূঁইয়ার মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।' 

আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাইদুর রহমান ও তার সমর্থকরা খুবই উচ্ছৃঙ্খল। তারা আমাদের একজনকে গুরুতর আহত করেছে। আমি এলাকার বাইরে আছি।'

এ বিষয়ে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই দুই পরিবারের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। নির্বাচন পরবর্তী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এর জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।'

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ এহসান শাহ্ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চায়ের দোকানে সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।'

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

30m ago