কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব যেন কাটছেই না

সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: স্টার

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব যেন কাটছেই না। সোমবার দুপুর ১১টার দিকে কক্সবাজারে নয় নম্বর মহা বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়। কিন্তু এরপর থেকেই কক্সবাজারে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে, সাথে চলতে থাকে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস। 

আজ ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড়ো বাতাস যেন থামছেই না। রাত সাড়ে ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত কক্সবাজারের ওপর দিয়ে প্রচন্ড গতিতে বাতাস বয়ে যাচ্ছে, সেইসঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে জনজীবনে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়াসহ যেসব এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি রয়েছে সেখানকার মানুষ চরম আতঙ্কে সময় পার করছে।

কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, 'ঝড় শেষ হলেও যে প্রচন্ড গতিতে বাতাস বইছে এতে আমরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আছি। সমুদ্রও উত্তাল। জোয়ারের পানি এলেই আমাদের এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হবে আশঙ্কায় আমাদের এলাকার কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও বেশিরভাগ মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।'

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এবি হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সোমবার জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেলায় ১৫৩টি কাঁচা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সতর্ক সংকেত তুলে নেওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাসিন্দারা নিজেদের ঘরে ফিরছেন। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ৬৩ মে.টন চাল সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা ঘরগুলোর পরিবারকে পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে কৃষিখাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

এদিকে মহেশখালী কুতুবজুম ইউনিয়নে ঘটিভাঙ্গা ডেম্বনিপাড়া এলাকায় একজন গাছচাপায় আহত হয়েছেন। তার নাম আবুল কালাম (৭৫)। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago