দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে ঢাকায় ডোনাল্ড লু

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডোনাল্ড লুকে স্বাগত জানান। ছবি: ইউএনবি

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং অবাধ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শন করতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ এশিয়া সফরে ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফরের পর বাংলাদেশে এলেন ডোনাল্ড লু।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং অবাধ, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থন প্রদর্শন করতে এই সফরে রয়েছেন ডোনাল্ড লু।

সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লু জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করাসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন।

ওয়াশিংটন গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে অভিহিত করার পর এটিই সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো মার্কিন কর্মকর্তার ঢাকা সফর। সবশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তিনি।

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, লু'র সফরে ভিসা নীতি ও র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ঢাকার আহ্বানের বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

37m ago