বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে গরমে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

নোয়াখালী সিভিল সার্জন বলেন, দেশের চলমান হিট অ্যালার্টে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যারা মাঠে কিংবা বাড়িতে ধানের কাজ করেন তাদের একনাগাড়ে বেশিক্ষণ রোদে অবস্থান করা যাবে না।
নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের ধারণা, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

মৃত ঋতু সুলতানা (১৭) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের মো. ইসমাইলের মেয়ে। স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ঋতু।

বুধবার রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে ঋতু মারা যায় বলে জানিয়েছে পরিবার।

আজ সকাল ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঋতুর চাচা মো. সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, বুধবার সারা দিন ঋতু তার মা রেহানা বেগমের সঙ্গে রোদের মধ্যে ধানের কাজ করেছিল। রাতের খাবারের পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুত্বর অসুস্থ হলে তার বাবা স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে আনেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক বাড়িতে এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ধারণা করেন প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। 

ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর খবরে তার সহপাঠী, শিক্ষক তার বাড়িতে ছুটে যান।

ঋতুর মা রেহানা বেগম মেয়ের শোকে বিলাপ করে কান্না করছেন আর বলছে, আমার মেয়ে তার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখে যেতে পারল না। রাত জেগে সে অনেক পড়াশুনা করত। ছোটবেলা থেকেই সে মেধাবী ছিল।

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, দেশের চলমান হিট অ্যালার্টে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যারা মাঠে কিংবা বাড়িতে ধানের কাজ করেন তাদের একনাগাড়ে বেশিক্ষণ রোদে অবস্থান করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই খালি গায়ে থাকা যাবে না। প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যায়। তাই ডি-হাইড্রেশন দূরীকরণের জন্য বেশি বেশি পানি ও খাবার স্যালাইন পান করতে হবে এবং যতটুকু সম্ভব ছায়াতে থাকতে হবে।

Comments