শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী শেলাবুনিয়ায় ঘুমিয়ে আছেন ফাদার রিগন
ফাদার মারিনো রিগন। একজন ইতালিয় বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি ক্যাথলিক পুরোহিত। জীবনের সোনালী সময়টা তিনি কাটিয়েছেন বাংলাদেশে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে বহু কাজ করেছেন। ৭০টির বেশি বাংলা বই ইতালিয় ভাষায় অনুবাদ করেছেন। ১৯৭১ সালে সহযোগিতা করেছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে।
ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে মারিনো কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির প্রতি তার আগ্রহ ছিল ব্যাপক।
মারিনোর শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পরে তার সমাধি হবে খুলনার শেলাবুনিয়ায়। ২০১৭ সালে মারিনোর মৃত্যুর এক বছর পরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তার মৃতদেহ আনা হয় মোংলায়। রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা হয় তার স্বপ্নের শেলাবুনিয়ায়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত মারিনো রিগনের সমাধি দেখতে গিয়েছিলাম খুলনার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম শেলাবুনিয়ায়। সঙ্গে ছিলেন মারিনোর ছাত্র টমাস গমেজ, অশোক সরকার ও অহিদুজ্জামান রিপন।
ফেব্রুয়ারির হালকা শীত মাথায় নিয়ে আমরা খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে রওনা হই শেলাবুনিয়ার উদ্দেশ্যে। মোংলায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হোটেল পশুরে গাড়ি রেখে খেয়া নৌকায় পার হই পশুর নদী।
তিন চাকার ভ্যানে চেপে আমরা পৌঁছে যাই শেলাবুনিয়ার সাধু পল গির্জায়। গির্জার মূল ভবনের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে ফাদার মারিনো রিগনকে।
শ্বেতপাথরে বাঁধানো মারিনোর কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। ঘুরে দেখি তার স্মৃতিমাখা গির্জার ভেতর-বাহির। পুকুর ঘাটে গিয়ে বসি, যেখানে বসে মারিনো রবীন্দ্রনাথ পড়তেন।
কথা বলি গির্জার কেয়ারটেকার পৌল বিশ্বাসের সঙ্গে, যিনি ছোটবেলা থেকে মারিনোকে দেখে বড় হয়েছেন। তার অনেক স্মৃতি আছে মারিনোর সঙ্গে।
পুরোহিত মারিনোর কফিন হেলিকপ্টার যোগে মোংলার পৌর মাঠে নামানোর সময় থেকে সমাধি পর্যন্ত পুরোটা সময় তিনি ছিলেন কফিনের কাছাকাছি।
২.
বাংলাদেশ ক্যাথলিক মন্ডলির খুলনা ধর্মপ্রদেশের প্রধান এবং কারিতাস বাংলাদেশ শাখার প্রধান বিশপ রমেন জেমস বৈরাগীর জন্মস্থান শেলাবুনিয়া। কথা বলি বিশপের সঙ্গে, জানতে চাই মারিনো রিগন সম্পর্কে।
তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে বলেন, 'ফাদার মারিনো রিগন দাবি করতেন তিনিই আমাকে খ্রিস্টান বানিয়েছেন। অর্থাৎ আমাদের ধর্মরীতিতে শিশুদের যে দীক্ষাস্নান করা হয়, তা ফাদার মারিনো এবং অন্য একজন ফাদার করেছিলেন। এই অর্থে বলা যায়—তিনিই আমাকে খ্রিস্টান বানিয়েছেন।'
বিশপ রমেন বলেন, 'দীক্ষাস্নানের সূত্রে ফাদার মারিনোর সঙ্গে আমার পরিচয় জন্ম থেকেই। এরপর যখন পুরোহিত হওয়ার জন্য সেমিনারিতে যাই, তখন থেকে ফাদারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তিনি অনেক বড় মাপের মানবিক মানুষ ছিলেন। শুধুমাত্র ধর্মকর্ম নিয়ে মত্তো থাকতেন না। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে অনেক ইতিবাচক কাজ করেছেন।'
রমেন বলেন, 'মারিনো আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন। দিকনির্দেশনা দিতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গোপালগঞ্জের বানিয়ারচরে ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন। তার চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে রাতের অন্ধকারে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন, খাবার দিতেন, আশ্রয় দিতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বলতেন রাতে আসতে, যেন খান সেনারা জানতে না পারে।'
বিশপ বলেন, 'মারিনো শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে অনেক কাজ করেছেন। অনেক স্কুল ও হোস্টেল নির্মাণ করেছেন। বিশেষ করে নারী শিক্ষার বেপারে মারিনো বেশি আগ্রহী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, নারীদের শিক্ষিত করতে পারলে ভালো পরিবার গড়ে উঠবে। ভালো মা তৈরি হবে। তিনি তার দেশ ইতালি থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বাংলাদেশের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দিতেন। বাংলাদেশের কুটির শিল্প ইতালিতে বিক্রির ব্যবস্থা করতেন। তিনি প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ করে তুলতে একটা কম্পিউটার সেন্টার নির্মাণ করেছিলেন।'
ফাদার মারিনোর অনুরাগী এবং খুলনার আন্ত ধর্মীয় সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক অশোক সরকার বলেন, 'ফাদার নারী উন্নয়নে বেশি মনোযোগী ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ও লালনে মুগ্ধ ছিলেন। তাদের অনেক বই অনুবাদ করেছেন ইতালিয় ভাষায়। ফাদার বলতেন, লালন আমার মস্তিষ্কে, রবীন্দ্রনাথ আমার হৃদয়ে।'
অশোক বলেন, 'ফাদার কখনো নিজেকে বড় করে দেখতেন না। তিনি ভক্তদের বলতেন, আমি কী গুণী? না, আমি গুণী না। আপনাদের গুণে আমি গুণান্বিত।'
মারিনো রিগনের ছাত্র ও নির্মাণ ব্যবসায়ী টমাস গমেজ বলেন, 'ফাদার খুব অমায়িক মানুষ ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আপন সন্তানের মতো যত্ন নিতেন।'
টমাস মজার স্মৃতি হাতড়ে বলেন, 'আমাদের হোস্টেল থেকে অল্প দূরত্বে ছিল মেয়েদের হোস্টেল। ছেলেরা ওদিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ফাদার বলতেন, "ওদিকে যেতে নেই, ওদিকে আগুন"।'
ফাদার মারিনো রিগনের ডিজাইনে নির্মিত শেলাবুনিয়ার সাধু পল ক্যাথলিক গির্জার কেয়ারটেকার পৌল বিশ্বাস বলেন, '২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর যখন ফাদার মারিনোর কফিন শেলাবুনিয়ার গির্জায় আনা হয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা গ্রামবাসী ছুটে এসেছিলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। ফাদার ছিলেন সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ।'
তিনি বলেন, 'ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে ফাদারকে আনা হয় মোংলা পৌরসভায়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেখানো হয়। এরপর তার স্মৃতি বিজড়িত পল গির্জার পাশে সমাহিত করা হয়।'
৩.
বাংলাদেশ ক্যাথলিক মন্ডলির খুলনা ধর্মপ্রদেশের প্রধান বিশপ রমেন জেমস বৈরাগীর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়। জানতে চাই তার অধীনস্থ আন্ত ধর্মীয় সংলাপ কেন্দ্র এবং চিকিৎসা কেন্দ্র বিচিত্রা সম্পর্কে।
বিশপ বলেন, 'ধর্মীয় সংলাপ করার জন্য ভ্যাটিকান থেকে নির্দেশনা আছে। আমরা সাধারণত দুই ধরনের সংলাপ করি। একটা হলো খ্রিস্টানদের মধ্যে। অর্থাৎ ক্যাথলিক, ব্যাপ্টিস্ট, প্রটেস্টানদের মধ্যে। প্রতি বছর ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে আমরা এই আয়োজন করি। এতে সব মতের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংলাপ হয়, প্রার্থনা হয়।'
'আরেকটি সংলাপ করি অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে। এই সংলাপের উদ্দেশ্য, তাদের আমাদের ধর্মে নিয়ে আসবো তা না। আমরা সংলাপের মাধ্যমে ধর্মীয় ও মানবিক সম্প্রীতি তৈরির চেষ্টা করি। সব ধর্মের একটা মূলমন্ত্র আছে, সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। আমার ধর্ম কী বলে, ইসলাম ধর্ম কী বলে, হিন্দু ধর্ম কী বলে, জৈন ধর্ম কী বলে তা জানার চেষ্টা করি।'
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই স্রষ্টার সৃষ্টি। আমরা যেন পরস্পরকে সম্মান করি, একসঙ্গে চলতে পারি, পরস্পরকে চিনতে পারি—এটাই সংলাপের মূল লক্ষ্য।'
বিশপ বলেন, 'এতে অনেক সুফল হয়। যারা আমাদের সংলাপে আসেন তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। মানবিক সম্প্রীতি বাড়ে। উদারতা বৃদ্ধি পায়। অনেকেই উৎসাহিত করেন সংলাপ অব্যাহত রাখতে। আমরাও চেষ্টা করি আন্ত ধর্মীয় সংলাপ কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যেতে।'
খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ বিশপ ভবনের কাছে 'বিচিত্রা' নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। সেখানে নিজ খরচে চিকিৎসা সেবা দিতে আসেন ইতালির জেভেরিয়ান মিশনের চিকিৎসকরা। তারা বছরের বিভিন্ন সময়ে ছোট-বড় গ্রুপ করে বিচিত্রায় আসেন গরিব মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিতে।
এই চিকিৎসা কেন্দ্র সম্পর্কে বিশপ রমেন বলেন, 'ইতালির জেভেরিয়ান ফাদার, ব্রাদাররা প্রায় ৪০ বছর আগে থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসাবঞ্চিত গরিব মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিতে এই কার্যক্রম শুরু করেন। তারা নিজ খরচে, স্বেচ্ছায় চিকিৎসা দিতে এ দেশে আসেন।'
বিশপ বলেন, 'বিচিত্রা পরিচালনায় প্রথম দিকে বিশেষ কোনো সমস্যা হতো না। সরকার সহজে অনুমোদন দিতো। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সরকারের অনুমোদন পেতে অনেক সময় সমস্যা হচ্ছে। অনুমোদন প্রসেস লম্বা হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। ফলে মিশনের ডাক্তাররাও এখন বেশি সময় থাকতে পারেন না। অল্প দিনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের চলে যেতে হয়।'
অনুমোদন জটিলতা বিষয়ে বিশপ রমেন বলেন, 'সরকার আমাদের যা বলে তা হলো—আমাদের দেশেই তো অনেক ভালো ডাক্তার আছে। তাদের কেন নিচ্ছেন না, কাজে লাগাচ্ছেন না।'
রমেন বলেন, 'আমরা তো ইতালিয় ডাক্তারদের কোনো টাকা দেই না। তারা নিজ খরচে এ দেশে আসেন গরিব মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিতে। তারা শতভাগ দাতব্য কাজ করেন।'
৪.
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু মারিনো রিগন ১৯২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালির ভিচেন্সা প্রভিন্সের ভিল্লাভেরলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। টানা ৬১ বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্যাথলিক ধর্মপল্লিতে কাজ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন শেলাবুনিয়া ক্যাথলিক ধর্মপল্লিতে।
এই দীর্ঘ সময়ে তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছেন। সাধারণ মানুষের দারিদ্রতা নিয়ে কাজ করেছেন। নারী উন্নয়নে কাজ করেছেন। শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে অবদান রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ, লালন, জসীম উদ্দীনসহ বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের প্রায় ৭০টি বই ইতালিয় ভাষায় অনুবাদ করেছেন।
তিনি নিজেকে সব সময় 'বাংলাদেশি' বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে নাগরিকত্ব এবং ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৮২ সালে মারিনো রিগনকে কবি জসীম উদ্দীন একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মারিনোর বাবা রিকার্দো রিগন একজন কৃষক এবং মা মনিকা রিগন একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। ছোটবেলা থেকে মারিনোর মধ্যে সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। বাংলা থেকে ইতালিয় ভাষায় অনুদিত তার প্রথম বই রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি।
ব্যক্তি জীবনে মারিনোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন কবি জসীম উদ্দীন। তিনি ১৯৭৩ সালে মারিনোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় মারিনো গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বানিয়ারচর ক্যাথলিক পল্লিতে ছিলেন। তখন তিনি নানা ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন। যুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ করতেন। দিনলিপি লিখতেন। যা ২০০৬ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে দান করেন।
বার্ধক্যজনিত কারণে ২০১৪ সালে মারিনো রিগনকে ইতালির জেভেনিয়ান ফাদার পল্লিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে মারিনো সে সময়ের সাপ্তাহিক পত্রিকায় জীবনের শেষ সাক্ষাৎকার দেন, যা ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। তখন তিনি জীবনের শেষ ইচ্ছা উল্লেখ করে বলেছিলেন, মৃত্যুর পরে খুলনার শেলাবুনিয়ায় শায়িত হতে চান।
৯২ বছর বয়সে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর মারিনো ইতালির ভিচেন্সার জেভেরিয়ান ফাদার পল্লিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এবং তাকে ভিল্লাভেরলার স্থানীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
'অনন্তের পথে ফাদার রিগন, বাংলায় ফেরা হলো না' শিরোনামে তখন খবর প্রকাশের এক বছর পরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তার মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়। মারিনোর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার আবেগ ভালোবাসার দুর্গ শেলাবুনিয়ার সাধু পল গির্জার পাশে ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সমাহিত করা হয়।
Comments