জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুততম সময়ে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
ছবি: স্টার

সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজটির নাবিকদের সুষ্ঠুভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী জসিম ও নুরুল করিম বেবি চৌধুরীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। পিএন্ডআই ক্লাবের মাধ্যমে জাহাজটিকে এবং জাহাজের যারা নাবিক তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।'

'তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছি সেটি বলতে চাই না, কারণ এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় নয়। তবে আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা', বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হাছান বলেন, 'আপনারা জানেন, একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ কয়েক বছর আগে ২০১০ সালে হাইজ্যাক হয়েছিল। সেটিকে মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি অতীতের মতো এবারও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।'

মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলার কারণে আবারও ১৪৯ জন বিজিপি সেনা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'ইতোপূর্বেও মিয়ানমারের এ ধরনের কিছু নাগরিক আমাদের দেশে এসেছিল। আমরা আলাপ-আলোচনা করে তাদেরকে যেভাবে ফেরত পাঠিয়েছি, এবারও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago