ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

আজ মধ্য রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: বাসস

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মধ্য রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা বাজার সাত মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছান। এর তিন মিনিট পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান।

অমর একুশের ঐতিহাসিক অমর গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি... আমি কি ভুলিতে পারি' গানের  সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ  সাহাবুদ্দিন প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পরই প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

তারা ভাষা বীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময়  জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

এর আগে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।

পরে তিন বাহিনী প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি), যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ  (ডিইউএএ)শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এরপর  সর্বস্তরের  জনগণের জন্য  শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হয়।  ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষা বীরদের সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মত্যাগকে স্মরণ করার জন্য সর্বস্তরের শত শত মানুষ হাতে ফুল নিয়ে এবং 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গুনগুন করে গেয়ে খালি পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

Comments