আহত বিজিপির ১৫ সদস্য, ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক: বিজিবি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর দিনভর সংঘর্ষের জেরে দেশটির ৯৫ সীমান্ত রক্ষী সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

আজ সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিপির ৬৮ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের বেশি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া নতুন করে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৭ জনের কতজন আহত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল দিনভর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও বিজিপির মধ্যে গোলাগুলি চলে। সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে তারা বিজিবির কাছে আশ্রয় চাইলে হেফাজতে নেয়।

'বিজিবি তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। বিজিপির আহত সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও ) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিজিপির চিকিৎসাধীন দুই সদস্য হলেন- রি লি থাইন (২২) ও জা নি মং (৩০)।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, কক্সবাজার শহরের বেসরকারি হাসপাতালে আহত অবস্থায় বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ছয় সদস্য হাসপাতালে ভর্তি। আহতরা রাখাইন রাজ্যের বুচিডং, টাংগো এবং ম্রাউ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

তবে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়সার হামিদ রাতে বলেন, এ ধরনের কোনো খবর তাদের কাছে নেই। তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।

এদিকে রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত ২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়েনের ধামনখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরের ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে আজ সকাল থেকে গোলগুলির কোনো শব্দ শোনা যায়নি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সীমান্তে তার এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। সকালে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে সকালে ২-৩টি গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

1h ago