এবারও পূরণ হয়নি হজ কোটা
এবার হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। শেষ দিন পেরোলেও খালি থেকে গেছে প্রায় ৭৯ হাজার কোটা।
কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে এর আগে নিবন্ধনের সময়সীমা দুই দফায় বাড়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে রোববার মন্ত্রণালয় একটি বৈঠক করবে।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে হজ নিবন্ধন চলে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে মন্ত্রণালয় সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ায় এবং কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় তা আবার ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট এক লাখ ২৭ হাজার কোটার বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন ৪৭ হাজার ৭৭৩ জন।
নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৭২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৪ হাজার একজন হজে যাবেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন, যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার জনের হজ করার কথা।
বিষয়টি নিয়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতারা হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, হজ কোটা পূরণ না হওয়ার প্রভাব তাদের ব্যবসায় পড়বে।
হাব ও আটাব নেতারা জানান, হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই এ বছর নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
চলতি বছর একজন বাংলাদেশিকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে সর্বনিম্ন প্রায় ছয় লাখ টাকা খরচ করতে হবে।
হাব ও আটাব নেতারা জানান, হজের মোট আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর গড়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ হয়, যা অনেক আগ্রহীকে নিরুৎসাহিত করেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ ডেইলি স্টারকে বলেন, কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় অনেক ট্রাভেল এজেন্সি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, এ বছর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সৌদি সরকার বারবার হজ প্রার্থীদের মোট সংখ্যা জানানোর জন্য অনুরোধ করায় সরকার সময়সীমা আর বাড়াতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত বছরও হজ কোটার বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কম ছিল নিবন্ধন সংখ্যা।
Comments