পদত্যাগ কার্যকর হওয়া পর্যন্ত টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর অফিস করতে বাধা নেই

‘যখন গেজেট প্রকাশ করে পদত্যাগ কার্যকর করা হবে, তখন থেকে তারা অফিস করবেন না।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের উদ্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজ নিজ অফিস করতে পারবেন। অর্থাৎ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার উদ্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তাদের অফিস করতে বাধা নেই।

আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কেউ কেউ এখনো অফিস করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'যখন গেজেট প্রকাশ করে পদত্যাগ কার্যকর করা হবে, তখন থেকে তারা অফিস করবেন না। এখন তাদের অফিস করতে বাধা নেই।'

তবে, কবে গেজেট প্রকাশ হবে, তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। কতদিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে তার কোনো নির্ধারিত সময় কোনো আইন-বিধিতে উল্লেখ নেই। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগেই গেজেট প্রকাশ হবে কিংবা এর আগেও হতে পারে।

মাহবুব হোসেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে দুইজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন জারি হলে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপন জারির আগে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।'

এর আগে গতকাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারা তিনজনই টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) কোটায় মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায়।

ওই তিনজনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। তবে উপদেষ্টাদের মধ্যে সালমান ফজলুর রহমান পদত্যাগ করতে হবে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ছয় উপদেষ্টার মধ্যে একমাত্র তিনিই সংসদ সদস্য।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মাহবুব হোসেন জানান, মন্ত্রিপরিষদ থেকে যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি। তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে, যা একেবারেই অবৈতনিক।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

Comments