‘আমার আমিত্ব বলে কিছু নেই, নিজেকে উৎসর্গ করেছি এদেশের মানুষের কল্যাণে’

‘মানুষের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকবে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তারা যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে চলেন। যারা অগ্নিসন্ত্রাসী তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবেন। সেটাই চাই।'
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রতিক্ষীত মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রতিক্ষীত মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২টা ২৯ মিনিটে টিকিট সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর তিনি সবুজ পতাকা উড়িয়ে আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেট্রোরেলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলে যাত্রার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সাধারণ মানুষ যাতে দ্রুত যাতায়াত করতে পারে, ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পায়, কর্মঘণ্টা বাঁচে সে উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। আজকে আমরা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করেছি। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত এক্সটেনশন চালু করব। আমি ধন্যবাদ জানাই জাপান সরকারকে; বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীকে, পাশাপাশি এই মেট্রোরেল নির্মাণকাজে যত শ্রমিক ও আরও যারা কাজ করেছে তাদের সবাইকে আজকে ধন্যবাদ জানাই। আমি শুভেচ্ছা জানাই এই কারণে যে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কোভিডকালীন সময়েও তারা কাজ করে দ্রুত এটি সম্পন্ন করেছে।'

দেশের মানুষের কাছে কোনো প্রত্যাশা আছে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মানুষের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকবে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তারা যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে চলেন। যারা অগ্নিসন্ত্রাসী তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবেন। সেটাই চাই। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সৌহার্দ্যে বিশ্বাস করি। শুধু দেশে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও—আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয় এটা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সেভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। এ সমস্ত দুর্বৃত্তপরায়ন যারা, পুলিশকে পিটিয়ে মারে, মানুষ মারে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে এদেরকে যেন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেন। এদের বিরুদ্ধে যেন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এটাই আমার দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান।'

'আমার বাবা বাঙালি জাতির একটা উন্নত সমৃদ্ধ জীবন দেবেন বলেই এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমার একটাই প্রত্যয়, আমি বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। আমার আমিত্ব বলে কিছু নেই আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি, এদেশের মানুষের কল্যাণে। মানুষ যখন শান্তি পাবে, তখন আমার বাবাও শান্তি পাবে, তিনি খুশি হবেন, তিনি নিশ্চয় সেটা দেখছেন,' প্রধানমন্ত্রী বলেন।

বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

5h ago