শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের ৮৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন, ৭ অক্টোবর আংশিক উদ্বোধন
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ইতোমধ্যে চেকইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন কাউন্টার, সিকিউরিটি সিস্টেম, এসকেলেটর, লিফট, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, কয়েকটি বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে।
আগামী ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করবেন।
আজ সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মফিদুর রহমান বলেন, 'তৃতীয় টার্মিনাল আংশিক চালুর জন্য এসব কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রকল্পের ভৌত কাজসহ পুরো প্রকল্পের মোট ৮৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'প্রকল্পের বাকি প্রায় ১০ শতাংশ কাজের মধ্যে আছে অভ্যন্তরীণ কিছু কাজ, ইন্টিগ্রেশন, ক্যালিব্রেশন, বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা। আংশিক উদ্বোধনের পর এসব কাজ করা হবে।'
সব কাজ শেষ করে আগামী বছরের শেষ নাগাদ তৃতীয় টার্মিনাল যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, ৩৭ উড়োজাহাজ পার্কিংয়ের জন্য বিস্তৃত এলাকা, রানওয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ট্যাক্সিং ট্র্যাকের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
মফিদুর রহমান বলেন, কার্গো হ্যান্ডলার নিয়োগ দেওয়া হলে বা বর্তমান কার্গো হ্যান্ডলার কার্গো টার্মিনাল পরিচালনা করতে সক্ষম হলে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্গো টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।'
টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এমআরটি-৫ (কমলাপুর-বিমানবন্দর) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
এছাড়াও, আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রীরা টানেল দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালে ঢুকতে ও বের হতে পারবেন।
প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাত মাস আগেই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়।
এই টাকা জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তৃতীয় টার্মিনালের পরবর্তী ধাপে ব্যবহার করা হবে বলে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান।
Comments