জাতীয় সংসদে কোরাম সংকটে ব্যয় ৮৯.২৮ কোটি টাকা: টিআইবি
জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়নে সংসদীয় কার্যক্রমের মাত্র ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ সময় ব্যয় করেছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির সর্বশেষ 'পার্লামেন্ট ওয়াচ' প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট আইন প্রণয়নে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ সময় ব্যয় করেছে এবং ২০১৮-১৯ সালে ভারতের সপ্তদশ লোকসভায় এটি ছিল ৪৫ শতাংশ।
টিআইবির কার্যালয়ে আজ রোববার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
টিআইবি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে ২২তম অধিবেশন নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করে। এই সময়কালে সংসদের কার্যক্রমের মোট ৭৪৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট সময় ব্যয় হয়।
১২টি বাজেট সংক্রান্ত বিল ছাড়া, মোট উত্থাপিত বিলের সংখ্যা ছিল ১০৮টি এবং এর মধ্যে ৬৮টি নতুন বিল, ২৬টি সংশোধনী বিল এবং ২টি বাতিল বিল–– সংসদে পাস হয়েছে।
জাতীয় সংসদে বিল পাস করতে গড়ে প্রায় ৭০ মিনিট সময় লেগেছিল, যেখানে ন্যূনতম সময় ছিল প্রায় ২৮ মিনিট এবং সর্বোচ্চ সময় ছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট।
'ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০' সর্বনিম্ন সময়ে পাস হয়েছে এবং যে বিলটি সবচেয়ে বেশি সময় নিয়েছিল তা হলো 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২'।
কোরাম সংকটের কারণে মোট ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে, যা মোট সংসদীয় কার্যক্রমের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
কোরাম সংকটের কারণে দৈনিক গড়ে ১৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড সময় নষ্ট হয়েছে
সংসদ পরিচালনায় প্রতি মিনিটে গড় ব্যয় হয় প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরাম সংকটের কারণে ব্যয় করা মোট সময়ের আনুমানিক আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ৮৯ দশমিক ২৮ কোটি টাকা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে সংসদীয় কার্যক্রমে একতরফা ক্ষমতা চর্চার প্রাধান্য একটি কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি সংসদীয় কর্মকাণ্ডে দ্বৈত ভূমিকা পালন করেছে, সংসদকে কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে তাদের ঘাটতি ছিল।
Comments