বিআইডব্লিউটিএর শুল্ক আদায়কারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা শুল্ক আদায়কারী মো. রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার পৃথক দুটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মামলা দুটি করেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন এই কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রথম মামলায় আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ১ কোটি ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৩৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরেক মামলায় আসামি করা হয়েছে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগমকে। তার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন না করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ৫৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রফিকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ে নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য এবং অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা লিজ নিয়ে ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজে লাগানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ ছিল।
দুদকের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী বলেন, সব মিলিয়ে এ দুজনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদক কয়েক মাস যাবৎ তদন্ত করছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে চলতি বছরের ২৯ মার্চ রফিকুল ইসলামকে তলব করে দুদক। বর্তমানে তিনি পিআরএল বা অবসরোত্তর ছুটিতে আছেন।
তবে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহর মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
Comments