পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় পৌঁছবে সকাল সাড়ে ১১টায়

পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলের জন্য প্রস্তুত পরীক্ষামূলক ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথে আজ বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে।

আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভাঙ্গার স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ট্রায়াল ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর থেকে সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা।'

তিনি আরও বলেন, 'শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১১টায় ভাঙ্গায় পৌঁছাবে।'

এর আগে গতকাল এই ট্রায়াল রানের আগে ফরিদপুর থেকে একটি ট্রেন কমলাপুরের উদ্দেশে যায়। সেসময় ট্রেনটিতে ৮ কোচ ও ১ ইঞ্জিন ছিল।

ভাঙ্গার স্টেশন মাস্টার জানান, এই ট্রেনেই আজ রেলমন্ত্রীসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গায় আসবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, চীন থেকে আমদানি করা ৭ নতুন কোচ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি নতুন লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), একটি পাওয়ার কার (ডব্লিউপিসি), একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাইনিং কার ও গার্ড ব্রেক (ডব্লিউজেডিআর), একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার (ডব্লিউজেসি), ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার (ডব্লিউজেসিসি) এবং একটি শোভন চেয়ার কোচ (ডব্লিউিইসি) বগি থাকবে।'

ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এবার ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার নবনির্মিত ব্রডগেজ রেললাইনে ট্রায়াল করা হবে।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী 'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প'-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

রেললাইনটি তিনটি ধাপে নির্মিত হচ্ছে (ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে একটি ৩ কিলোমিটার সংযোগ নির্মিত হচ্ছে): ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া অংশ, একটি ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা অংশ এবং একটি ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর অংশ। প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং এবং ওয়াই-সংযোগ মোট লাইনের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার।

ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে ১৪টি নতুন তৈরি করার পাশাপাশি আগের স্টেশনগুলোও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। একবার সম্পূর্ণ হলে ট্রেনগুলো ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হওয়ায় ঢাকা-যশোর রেললাইনের কোথাও কোনো রেল ক্রসিং থাকবে না।

আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

Comments