কক্সবাজারে ট্রেন নিতে চট্টগ্রামের পুরোনো লাইন সংস্কার

বোয়ালখালীর গোমদন্ডী থেকে দোহাজারী পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার রেললাইনে পাথর বিছানো হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর জন্য চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত বিদ্যমান রেল-ট্র্যাকে পাথর বিছানোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে বোয়ালখালীর গোমদন্ডী থেকে দোহাজারী পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার রেললাইনে পাথর বিছানো হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে পাথর বিছানোর কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এর আগে লাইনটির ১৯ কিলোমিটার ট্র্যাকে পাথর বিছানো সম্পন্ন হয়েছে।

রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যমান লাইনে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হলে এই ট্র্যাক দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। তাই পুরোনো লাইনটি সংস্কার করা হচ্ছে।'

প্রকৌশলীরা জানান, কালুরঘাট সেতু বন্ধ থাকায় পাথরবাহী ট্রাক চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া স্টেশনে নেওয়া হচ্ছে। এরপর বোর্ডারের (এক ধরনের মালবাহী ট্রেন) মাধ্যমে পাথরগুলো রেললাইনে বিছানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, পাথর বিছানোর কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় আজ মঙ্গলবার রেলের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত ১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পটিয়া রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ।

স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমিতে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী কিছু স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। পাথর বিছানোর কাজে বাধা তৈরি হওয়ায় এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।'

চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ষোলশহর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ আগে সংস্কার করা হয়েছে। বাকি ট্র্যাকের সংস্কার কাজ চলতি মাসে শেষ হওয়ার কথা।

প্রকৌশলীরা বলছেন, পাথর বিছানো, পুরোনো স্লিপার পরিবর্তন করে নতুন স্লিপার বসানোসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজের পর রেললাইনটি নতুন রূপ পাবে।

অক্টোবরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে ট্রায়াল ট্রেন চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে রেলওয়ে।

এ প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান সম্প্রতি ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ প্রায় শেষদিকে। অক্টোবরের শেষে এই লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। ট্রায়ালের জন্যে ইতোমধ্যে একটি ট্রেন পটিয়া স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'

তবে অক্টোবরে নতুন লাইনটি চালু হলেও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার লাইনটি সহসা যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে না। কারণ কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শেষ না পর্যন্ত এই লাইনে ট্রেন চলাচল সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতুর কাজ শেষ করতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

UN Human Rights office to open in Bangladesh soon: Gwyn Lewis

MoU is finalised as UN prepares to assist Bangladesh with political, police, judicial reforms

46m ago