কাজী পেয়ারার জনক কৃষিবিজ্ঞানী কাজী এম বদরুদ্দোজা মারা গেছেন
কাজী পেয়ারার জনক ও ন্যাশনাল ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা মারা গেছেন।
আজ বুধবার বিকেল ৫টায় ঢাকার উত্তরার একটা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরিবারের বরাত দিয়ে সাংবাদিক শাইখ সিরাজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাজী এম বদরুদ্দোজা অসুস্থ ছিলেন অনেক দিন। গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল ৫টায় তিনি মারা গেছেন।'
আগামীকাল সকাল ৯টায় ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে তার প্রথম জানাজা এবং গাইবান্ধায় নিজ গ্রামে দাফন হবে বলে জানান তিনি।
কৃষিবিজ্ঞানী কাজী এম বদরুদ্দোজা ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। ১৯৪৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট (বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে পড়াশোনা করেন।
স্বল্প পরিচিত ফসল গম ও ভুট্টা চাষ সম্পর্কে জানার জন্য তিনি সুইডেনের বিশ্বখ্যাত স্তালভ গবেষণা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তান অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক ও মহাপরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে তিনিই প্রথম বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল গম প্রবর্তন করার উদ্যোগ নেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ইকোনমিক বোটানিস্ট (ফাইবার) পদ লাভ করেন।
তিনি পেয়ারার একটি জাত উদ্ভাবন করেন, যা তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে 'কাজী পেয়ারা'।
ধানের বাইরে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দানাদার ফসল চাষ শুরুর ক্ষেত্রেও কাজী বদরুদ্দোজা নেতৃত্ব দেন। দেশে আধুনিক জাতের গম উদ্ভাবন ও চাষ শুরু করা আর ভুট্টার বাণিজ্যিক আবাদ তার হাত দিয়ে শুরু। ভুট্টা থেকে তেল উদ্ভাবন এবং তা পোলট্রিশিল্পের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরুর ধারণাটিও তার কাছ থেকে আসা। ছত্রাকের গণ 'কাজিবোলেটাস' এর নামকরণ ও করা তার নাম থেকেই।
কৃষিতে অবদানের জন্য ২০১২ সালে 'স্বাধীনতা পুরস্কার' প্রদান করা হয় এই কৃষি বিজ্ঞানীকে।
Comments