ঢাকায় আসার পথে ৪ ‘মাছ ব্যবসায়ী’ আটক

আমিনবাজার চেকপোস্টে আজ সকাল থেকে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৪ জন মাছ ব্যবসায়ী আছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, ঢাকার বিভিন্ন আড়তে পাইকারি মাছ বিক্রি করেন তিনি। রাতের ট্রাকে মাছের চালান পাঠিয়ে দুজন ব্যবসায়িক সহযোগী ও এক কর্মচারীকে নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মাছের আড়তে যাওয়ার পথে আমিনবাজার চেকপোস্টে তাদের আটক করে পুলিশ। 

প্রাইভেটকারের চালকসহ তাদের ৫ জনকে চেকপোস্টের পাশেই আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আটকে রেখে পরে থানায় নিয়েছে পুলিশ। 

আব্দুল কাদের। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/স্টার

সকাল ৮টার দিকে আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি একজন মাছ ব্যবসায়ী। ঢাকার বিভিন্ন মৎস্য আড়তে নিয়মিত মাছ বিক্রি করি। রাতে ট্রাকে মাছের চালান কারওয়ান বাজারে পাঠিয়ে ব্যবসার ২ জন পার্টনার ও ১ কর্মচারীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করি। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চেকপোস্টে প্রাইভেটকারের চালকসহ আমাদের ৫ জনকে আটক করে আমাদের হাতে থাকা মোট ৭টি মোবাইল নিয়ে নেয় পুলিশ। আমরা নিজেদের পরিচয় দিলেও তারা (পুলিশ) আমাদের ছাড়ছে না।' 

আব্দুল কাদের বলেন, 'সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আমাদের ছাড়াও মোট ৫২ জনকে আটক করেছিল। একটা প্রিজনভ্যানে করে ৪৮ জনকে নিয়ে গেছে। পরিচয় দেওয়ার পর পুলিশ আমাদের ওই প্রিজনভ্যানে নেয়নি। মাছের আড়ত থেকে ফোন দিচ্ছে। কী করব বুঝতে পারছি না।'

শুধু আব্দুল কাদের নয়। আব্দুল কাদেরের মতো ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তিও একই অভিযোগ করেন।

নিজেকে ফুটপাতের খেলনা বিক্রেতা দাবি করে ফজলুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা একটা অফিসের মাইক্রোবাসে ২০০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া মিটিয়ে চন্দ্রা থেকে চকবাজারে মালামাল আনার উদ্দেশে ২ জন রওয়ানা হই। পথে আমিন বাজার চেকপোস্টে আমাদের মাইক্রোবাস চেক করে পুলিশ। আমার মোবাইল চেক করে ফেসবুকে একটা মিটিংয়ের ছবি দেখতে পেয়ে মোবাইল নিয়ে নেয় পুলিশ। ওই মাইক্রোবাস থেকে আমাদের ২ জনকে নামিয়ে আমাদের ২০ শয্যার হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে।'

চেকপোস্ট থেকে আটকের ঘটনাকে নিছক হয়রানি উল্লেখ করে ফজলুল হক বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষ, এরকম হয়রানির শিকার হলে কে দেখবে। এখানে কিছুই বলার নেই। আটকের বিষয়টি শুনতে পেলে বাসায় ছোট ছেলে-মেয়েরা কান্নাকাটি শুরু করে দেবে।'

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চেকপোস্ট থেকে বাস-প্রাইভেটকার ও বিভিন্ন যানবাহন আটকে বেশ কয়েকজনকে চেকপোস্টের পাশেই আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ ছাড়া কয়েকটি বাস আটকে রেখে যাত্রীদের নামিয়ে দিতেও দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লাহিল কাফী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকায় ২ দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য চালাতে না পারে এ কারণে চেকপোস্টে তল্লাশি করা হয়েছে। আমরা সন্দেহভাজনদের চেকব্যাক করছি। এই মুহূর্তে কতজনকে আটক করা হয়েছে সংখ্যাটা বলতে পারছি না।'
 
মাছব্যসায়ীদের আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা তাদের বিষয়ে খুলনায় খোঁজখবর নিচ্ছি। তারা যদি মাছ ব্যাবসায়ী হয়, তাহলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago