কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সংঘর্ষের ঘটনায় ।ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক যানবাহন। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী এলাকায় নির্মাণাধীণ ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন ভাতা নিয়ে অসন্তোষের জেরে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ শ্রমিক ও নিরাপত্তা সদস্য আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের অফিসসহ একাধিক যানবাহন।  

খবর পেয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছ। পরিস্থিতি এখনো থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ জনকে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, ওবায়দুল (৪০), শাহিন মোল্লা (৩৫),  নিরাপত্তা কর্মী রাকিবুল ইসলাম (৩২) ও জিদান (৩০)। বাকি আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতনের কিছু টাকা সার্ভিস চার্জের নামে কেটে রাখা হচ্ছে। তারা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ  তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় আজ শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। এতে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলা ও পাল্টা হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অফিস ও কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

তবে বেতন থেকে কেন টাকা কেটে রাখা হয় সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে আরপিসিএল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী মো. তৌফিক ইসলাম মোবাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

2h ago