সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস

পোর্টালের ন্যূনতম নিরাপত্তা ছিল না: পলক

৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোক্তারা
জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ফটো

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকারি একটি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি ঘটেছে কারিগরি দুর্বলতায়।

ওয়েবসাইটটি নিজে থেকেই ভঙ্গুর ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি, কারিগরি ত্রুটি ছিল। যে কারণেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।' 

এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

পলক বলেন, 'যে পোর্টাল থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে সেখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা ছিল না। সতর্ক করা সত্ত্বেও তা আমলে নেননি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। তাদের অবহেলার কারণে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'সাইবার অপরাধীরা কোনো তথ্য নিয়েছে কি না আমরা এখনো এমন প্রমাণ পাইনি। আমরা যা পেয়েছি তা হলো- সরকারি ওয়েবসাইটে প্রযুক্তিগত দুর্বলতা ছিল। এর ফলে তথ্যগুলো খুব সহজে দেখা যাচ্ছিল।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে "গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো" হিসেবে ঘোষণা করেছি, তবে ধাপে ধাপে এ সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার হামলায় ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়ার পর আমরা সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছি। এই ২৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা তালিকায় ২৭ নম্বর হিসেবে চিহ্নিত করেছি, সেটি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

5m ago