বৃহস্পতিবার থেকে বগুড়ায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতির আল্টিমেটাম
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনার জেরে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির আল্টিমেটাম দিয়েছেন জেলা পরিবহন নেতারা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ৫ দফা দাবিতে বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা কেন্দ্রীয় টার্মিনালে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। আজকের মধ্যে দাবি না মানলে আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতে যাব।'
'আমাদের দাবিগুলো হলো—দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আবুল কালাম আজাদের অপসারণ; দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির মালিক-শ্রমিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার; দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ক্ষতিপূরণ প্রদান; হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সড়কে অবৈধ্য যান চলাচল বন্ধ এবং বগুড়া-নওগাঁ সড়কের বিভিন্ন স্ট্যান্ডে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ,' বলেন তিনি।
গত ৩ জুলাই সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী বাজারের তিনমাথা এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কে নওগাঁ থেকে বগুড়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি মিনিবাসের ধাক্কায় রাস্তার পাশে অপেক্ষারত অটোরিকশাচালক মোফাজ্জল হোসেন মোফা (৫৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন।
দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িটি আটক করে ভাঙচুর চালায় এবং চালক ও তার সহকারীকে থানায় সোপর্দ করে। পরদিন মোফার স্ত্রী মোছা. মঞ্জিলা থানায় বাসচালক সিরাজুল ইসলাম পলটু (৩০), চালকের সহকারী মো. আশিক (২৫) ও মিনিবাস মালিক মো. সারোয়ার হোসেনের নামে মামলা করেন।
জানতে চাইলে দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলা তো পুলিশ করেনি, নিহতের পরিবার করেছে। স্থানীয়দের হাতে আটক বাসচালক স্কীকার করেছেন যে, ঈদের সময় মালিক দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে অধিক ট্রিপ মারার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘনা ঘটেছে। এই জন্য নিহতের স্ত্রী বাস মালিকের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন প্ররোচনার অভিযোগে। এখানে পুলিশের কোনো দোষ নেই। পুলিশের আইনের অধীনে থেকেই কাজ করছে।'
Comments