হজযাত্রীরা জমজমের পানি ঢাকায় ফেরার পর পাবেন ৫ লিটার করে

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসা ফাঁকা ফ্লাইটে (ডেডিকেটেড ফ্লাইট) জমজমের পানি আনা হয়।
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে হজ পালন করতে যাওয়া সব বাংলাদেশি হাজিদের জন্য জমজমের পানি ঢাকায় পৌঁছেছে। বর্তমানে এই পানি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাখা আছে। প্রত্যেক হজযাত্রী দেশে ফেরার পর তাকে একটি করে ৫ লিটার পানির গ্যালন দেওয়া হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসা ফাঁকা ফ্লাইটে (ডেডিকেটেড ফ্লাইট) জমজমের পানি আনা হয়।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, 'ইতোমধ্যে সব হজযাত্রীর জমজমের পানি চলে এসেছে। এগুলো বিমানবন্দরে সংরক্ষিত আছে। পরিবহনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় হজযাত্রীর সংখ্যার চেয়েও কিছু অতিরিক্ত বাক্স আনা হয়েছে।'

আগে হজ শেষে বাংলাদেশে ফেরার সময় বিমানের যাত্রীদের জমজমের পানি লাগেজের সঙ্গে বুকিং দিয়ে আনতে হতো। তবে কয়েক বছর ধরে এই ধরন বদলেছে। বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে কেবিন ক্রু হাজীদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে টোকেন দেবেন।

বাংলাদেশে পৌঁছে ইমিগ্রেশন এবং লাগেজ সংগ্রহ শেষ করার পর ওই টোকেনটি জমা দিলেই প্রত্যেক যাত্রী ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বাক্স পাবেন। শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিমানবন্দরে অবতরণ করা যাত্রীরাও একইভাবে জমজমের পানি পাবেন।

হজযাত্রীদের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সৌদি সরকার তাদের নির্ধারিত ৫ লিটারের বাক্স ছাড়া আর কোনো অবস্থাতেই লাগেজের সঙ্গে জমজমের পানি আনতে দেয় না। কেউ লাগেজে ভরে পানি আনার চেষ্টা করলে তা স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়বে এবং লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা উড়োজাহাজে তুলতে দিবে।

এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। আজ রাতে শেষ হচ্ছে হজ ফ্লাইট। আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২১ মে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২ জুলাই আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২ আগস্ট।

Comments