ঈদের ছুটি বাড়িয়ে ২৭ জুন থেকে দেওয়ার সুপারিশ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি ১ দিন বাড়িয়ে ২৭ জুন থেকে দেওয়ার সুপারিশ করেছে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, 'সামনে আমাদের ঈদের সময়। বাঙালিরা সব সময় ঘরমুখো। আমরা চাই বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে। সে জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েও...বহু লোক মারা যায়। গত রোজার ঈদে আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দপূর্ণ ছিল ভ্রমণ। এ বছরও যাতে হয়, অনেকে সে জন্য মত প্রকাশ করেছেন যে, ঈদের ছুটি ২৮ তারিখের পরিবর্তে ২৭ তারিখ থেকে দেওয়া যায়। সেটা কেবিনেট করতে পারে, আমরা কেবিনেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যদি ২৭ তারিখ থেকে ছুটি কেবিনেট অনুমোদন করে, ২৯ তারিখে আমরা ঈদ ধরে নিচ্ছি, তাহলে মানুষের যাওয়া-আসায় চাপ কম পড়বে। নিরাপদে যেতে পারবে এই অভিমত ব্যক্ত করেছে।'

তিনি বলেন, 'ঈদের সময় রাস্তা আরও নিরাপদ রাখার জন্য টহল পূর্ণ দমে যাতে ৩ দিনব্যাপী রোজার ঈদের মতো রাখা হয়। প্রতি বছর যেটা সমস্যা হয়, কোরবানির হাট বসে রাস্তার ওপর। এটা কঠিনভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে তারা যেন অত্যন্ত সচেতন থাকে। কোনো অবস্থায় কোরবানির গরুর হাট রাস্তার ওপর করার জন্য অনুমতি তো দেবেই না, বসতে যেন না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট থাকবে।'

'ঢাকা শহরে আমরা এটা বললেও তো হবে না! মানুষ কোত্থেকে কিনবে? আর বাজার-গরুর হাট করার মতো খালি জায়গা নেই। এখানকার জায়গাটা একটু ভিন্নতর। সেটাও আমরা ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছি, কোথায় কোথায় সিটি করপোরেশন নিয়েছে সেখানে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থাটা রেখে যেন সেগুলো হয়। তিনি সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মিটিং করে ব্যবস্থা নেবেন। বাজারটা যেন প্রয়োজনীয়, মানুষ যেহেতু কোরবানি করবে, ঢাকা শহরে কোনো খালি জায়গা নেই। বন্ধ করে দিলে তো হবে না! মানুষের কোরবানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। আবার মানুষের যাত্রাপথ বন্ধ করে কোরবানির হাট করলে তো হবে না,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

58m ago