পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সংকটে জামালপুর পৌরসভার মানুষ

ছবি: স্টার

গত ২ দশকে পৌরসভা এলাকায় পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে যাওয়ায় খাবার পানিসহ গৃহস্থালী কাজে পানির সংকটে পড়েছে জামালপুর পৌরসভার মানুষ।

এলাকার পানির স্তর প্রায় ২৪ ফুট নিচে নেমে যাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ তাদের টিউবওয়েল এবং সাধারণ পাম্প দিয়ে পানি তুলতে পারছেন না। তাই খাবার পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পানির স্তর ২০ ফুট উপরে থাকলে মানুষ টিউবওয়েল দিয়ে চেপে পানি তুলতে পারে এবং পানির স্তর ২৩ ফুট উপরে থাকলে একটি সাধারণ পাম্প দিয়ে পানি তোলা যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, পানির স্তর ২২ থেকে ২৩ ফুটের নিচে নেমে গেলে সাধারণ মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এখন তা ২৪ ফুটের নিচে চলে গেছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা, পানি সংকট ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন।

বৃষ্টির অভাব, তীব্র খরা, অপরিকল্পিত আবাসন নির্মাণ, অপরিকল্পিতভাবে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন, পুকুর এবং জলাশয় ভরাটকে পানির স্তর নিচে নামানোর প্রধান কারণ বলছেন তারা।

জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর পৌরসভায় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৮ জন এবং সদর উপজেলায় ৬ লাখ ১৫ হাজার ৭২ জন মানুষ বসবাস করেন।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ নলকূপ থেকে পানি তুলতে পারছে না এবং তারা পানীয় ও গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্যও পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না।

সবচেয়ে বেশি প্রকোপ বানিয়াবাজার, বজরাপুর, মুকন্দবাড়ি, পূর্ব মুকন্দবাড়ি, মৃদাপাড়া, ডাকপাড়া, বেলটিয়া, মুসলিমাবাদ, জিগাতলা; যেখানে বাসিন্দারা টিউবওয়েলে এক ফোঁটা পানিও তুলতে পারছেন না।

জামালপুর পৌরসভার জোমিলা বেগম বলেন, 'আমি আমাদের নলকূপ থেকে পানি তুলতে পারছি না। পানি ছাড়া খাবার রান্না ও কাপড় ধোয়া কঠিন।'

মুসলিমাবাদের আলী আকবর জানান, তার টিউবওয়েল এক ফোঁটা পানি তুলতে না পারায় ২ মাস ধরে তাকে পাশের বাড়ি থেকে পানি আনতে হচ্ছে। যেখানে শক্তিশালী মোটর পাম্প দিয়ে পানি তোলা হয়।'

জামালপুর পৌরসভার মেয়র সানোয়ার হোসেন সানু বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।'

'বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে আমরা বেশ কয়েকটি গভীর জলের ট্যাংক স্থাপন করেছি এবং আরও ট্যাংক স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে', বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

11h ago