নরসিংদীতে আশ্রমের সাধুসঙ্গে হামলা-ভাঙচুর

ভাঙচুরের পর পুলকিত আশ্রমের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার একটি আশ্রমে সাধুসঙ্গ চলার সময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামে পুলকিত আশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

পুলকিত আশ্রমের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম (৪৭) বলেন, 'গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাবলা গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখ (২৮) মদ খেয়ে আমাদের আশ্রমে ঢুকে অশোভন আচরণ শুরু করেন। আমরা ১০-১২ জন এর প্রতিবাদ করলে জাহাঙ্গীর তার চাচাতো ভাই ফরিদ শেখ (৩৪) ও শাহীন শেখসহ স্থানীয় আরও ৪-৫ জনকে ডেকে এনে আমাদের বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে এবং সাধুসঙ্গে থাকা লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।'

ছবি: সংগৃহীত

ওই সাধুসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী রনি জাবালি। তার ভাষ্য, বন্ধুদের নিয়ে তিনি প্রায়ই পুলকিত আশ্রমে সাধুসঙ্গ করতে যান। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে লালন সাধকরা আসেন।

রনি বলেন, 'মাতাল অবস্থায় হামলাকারীরা উপস্থিত সাধুদের তানপুরা, সারিন্দা, দোতারা, একতারা, বাঁশি, ডুগি ও গিটারসহ সব বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলে। তারা আমাদের গায়ে হাত তোলেনি। কিন্তু তাড়া করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমরা তখন ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি।'

হামলার পর পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরসহ ভাঙচুরে অংশ নেওয়া অন্যদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ছবি: সংগৃহীত

বেলাবো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীর আহমেদ বলেন, 'খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখ প্রথমে মাতাল অবস্থায় আশ্রমে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এর প্রতিবাদ করলে পরের দফায় জাহাঙ্গীর তার আত্মীয়দের নিয়ে সেখানে যায় এবং বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে গেছে।'

ওসি জানান, এ বিষয়ে তারা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago